বগুড়ায় বিএনপির কার্যালয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় আহত ৩

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪০৩ বার।

বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভা চলাকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শহরের নবাববাড়ী রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

জানা গেছে, বেলা ১১টায় বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজের সভাপতিত্বে নবাববাড়ী রোডের জেলা কার্যালয়ে বিএনপির এক যৌথ প্রতিনিধি সভা শুরু হয়। সভা চলাকালে দুপুর ১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ করে উপজেলা বিএনপির কমিটি বাতিল চেয়ে সভাকক্ষে প্রবেশ করে। পরে তাদের বের করে দেয়া হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে পদবঞ্চিত বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী ও তাদের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওযার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেল নিক্ষেপে আরমান আলীসহ বিএনপির ৩ সমর্থক আহত হন। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং সেখানে ৪/৫টি চেয়ারও ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

অভিযোগ রয়েছে, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা নিয়েই এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। সেখানে বিএনপি নেতা মীর শাহে আলম গ্রুপ ও এমআর ইসলাম স্বাধীন গ্রুপের সর্মথকরাই এই ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে। তবে মীর শাহে আলম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একজন সদস্য এবং শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপিরও একজন সদস্য। তিনি আরও বলেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাস্টার আব্দুর রাজ্জাককে আহবায়ক ও হারুনুর রশিদকে যুগ্ম আহবায়ক করে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে দলের মধ্যে কোন বিরোধ নেই বলে তার দাবি।

এদিকে জেলা ব্এিনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এম আর ইসলাম স্বাধীন গ্রুপ ওই কমিটির বিরোধীতা করে। তারা ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় দু’গ্রুপের মধ্যে। এম আর ইসলাম স্বাধীন জেল হাজতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও জেলা বিএনপির মূখমাত্র ভিপি খায়রুল বাসার বলেন, বিএনপির বহিস্কৃত নেতাকর্মীরা কোন কারণ ছাড়াই দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে বিশৃংখলা করার চেষ্টা করে। পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান করা হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।