নওগাঁয় কলেজ ছাত্রীর মাথার চুল কেটে নির্যাতনঃ মামলার অন্যতম আসামী রুপা গ্রেপ্তার

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৭ বার।

নওগাঁর নিয়ামতপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে নির্যাতনের ঘটনায় রুপা আক্তার (২০) নামে মামলার অন্যতম আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ফুফুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রুপা রায়হান আলীর স্ত্রী। তাদের বাড়ি উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঝাজিরা গ্রামে হলেও তারা উপজেলা সদরে বালাহৈর জামে মসজিদের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বুধবার দুপুরে রুপাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর রোববার বিকাল ৫টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রী কম্পিউটার প্রশিক্ষন শেষে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ থেকে রায়হান ও তার তিন বন্ধু তাকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রায়হান ও তার সহযোগীদের সহায়তায় রায়হানের স্ত্রী রূপা কলেজ ছাত্রীর মাথার চুল কেটে দেয়।

ভিডিও ফুটেজে রুপা নিজ হাতে কাচি দিয়ে ওই ছাত্রীর প্রায় দেড় ফুট লম্বা মাথার চুল কেটে ফেলতে দেখা গেছে। ওই ভিডিও ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়।

এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর রায়হান, তার স্ত্রী রুপাসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দাযের করে। ওইদিন পুলিশ রায়হানকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে রুপা ও রায়হানের সহযোগীরা পলাতক ছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ামতপুর থানার উপ-পরিদর্শ (এসআই) মতিয়ার রহমান বলেন, এর আগে মামলার প্রধান আসামী রায়হানকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তার স্ত্রী রুপাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।