এমপি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে ভোট বর্জন করবেন জাকির

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪ ১৯:২৪ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ২৬ বার।

বগুড়ার সোনাতলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই অভিযোগ করে ৬ মে’র মধ্যে তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন বলেছেন, ‘যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে আমি নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হবো।’ রবিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই ঘোষণা দেন।

 


আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বগুড়া-১ (সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন আবারও প্রার্থী হয়েছেন। তিনি লড়ছেন আনারস প্রতীক নিয়ে।আর তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সোনাতলা উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন লড়ছেন মোটর সাইকেল নিয়ে।

 


রবিবার বেলা আড়াইটায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ১৯৮৭ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই। এরপর যুবলীগ এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। ২০১৯ সালে সোনাতলা উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাহিত হই। কিন্তু চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনের অসহযোগিতা  এবং তার দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারিনি। পরবর্তীতে তার বোন সাহাদারা মান্নান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আমাকে সকল প্রকার সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। এসব কারণে সোনাতলাবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার জন্য আমি এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু  আমার এ সিদ্ধান্তে মিনহাদুজ্জামান লীটন ক্ষুব্ধ হয় এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে শুরু করে। 

 


এমনকি মনোনয়নপত্র দাখিলের পর আমার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এমপির ভাই মিনহাদুজ্জামান লীটন আমাকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বলেছিল। আমি তাতে সম্মত না হওয়ার পর থেকেই তিনি তার বাহিনীকে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন। তারা নানাভাবে আমাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন এবং আমার কর্মীদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ গত ৩ মে দীঘলকান্দি গ্রামে আমার উঠান বৈঠকে বাধা প্রদান করে তা ভণ্ডুল করে দেয়। তার বোন এমপি সাহাদারা মান্নান সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে রাতে দলীয় নেতা-কর্মী ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তার ভাইয়ের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।

 


সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ এবং তার ভাই মিনহাদুজ্জামান লীটনের সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্যগুলো নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে লিখিত এবং মৌখিকভাবে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি এমপি ও তার ভাইয়ের ভয়ে স্থানীয় কোন সাংবাদিকও আমাদের ওপর হামলার খবরগুলো পত্রিকায় প্রকাশ করতে সাহস পায় না।’

 

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ফোন রিসিভ করেন নি। আর তার ভাই মিনহাদুজ্জামান লীটন সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, জাকির হোসেন ভোটে জিততে পারবে না জেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ খুঁজছে।